
দশ টাকার প্রলোভনে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় ফরহাদ হোসেন (১৮) নামের এক যুবক। ঘটনার পর শিশুটিকে চিকিৎসা না দিয়ে মিমাংসার অজুহাতে ৬ ঘন্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাশালী মহলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বারুর গ্রামে। ওই ঘটনায় শনিবার বিকালে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও শিশু পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় উপজেলার বারুর গ্রামের জব্বার মেম্বারের বাড়ির সাহেব আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেন (১৮) একই গ্রামের ও বারুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্রীকে ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পাশের কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ধর্ষক ফরহাদ হোসেন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাড়ি নিয়ে আসলে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এসে বিষয়টি মিমাংসা করে দিবেন বলে শিশুটির পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে এবং শিশুটিকে চিকিৎসা না দিয়ে বাড়িতে আটকে রাখেন। পরে রাত সাড়ে ৯ টায় শিশুটির পরিবার তাকে নিয়ে পালিয়ে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে শনিবার বিকালে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে ধর্ষক ফরহাদ হোসেনকে আসামী কওে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিশুটির মা বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় ঘটনা হলেও আমার মেয়েকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে মিমাংসার অজুহাতে আমাদের বাড়িতে আটকে রাখেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। রাতে আমরা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে হাসপাতালে আসি।
চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল কাউছার জানান, শিশুটিকে রাত পোনে ১০ টায় দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে রাতেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, শনিবার বিকালে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে আটক করতে অভিযান চলছে।.