খান মোহাম্মদ রুবেল হোসেন:
কুমিল্লা লালমাই উপজেলায় ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার ও প্রতারণামূলক ব্যবসা করায়- ২ জনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রী খীসা। রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় লালমাই উপজেলার আটিটি বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী ০১ জন ব্যক্তিকে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড এবং ভোক্তার সাথে প্রতারণামূলক সেবা প্রদান করে ঔষধ ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ০১ জন ব্যবসায়ীকে ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দোগাছিয়া গ্রামের সৈয়দ আহমেদের ছেলে শামীম আহমেদ সুমন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আটিটি বাজারে ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে আসছে। ইতোপূর্বে সে একটি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন। যার অপরাধে শামীমকে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।
অন্যদিকে বাজারটির সৌরভ মেডিকেল নামে একটি ঔষধ দোকান ভোক্তার সাথে প্রতারণামূলক সেবা প্রদান করে ঔষধ ব্যবসার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট জনাব রিয়াজুল ইসলাম ও লালমাই থানা পুলিশ।
বাজারে ভুয়া ডাক্তার ও অনুমোদনহীন ফার্মেসির দৌরাত্ম্য চরমে পৌঁছেছে।মোবাইল কোর্টের অভিযান খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় মেডিক্যাল দোকানদারা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারের অধিকাংশ ডাক্তারই কোনো স্বীকৃত ডিগ্রিধারী নন। তবুও তারা রোগী দেখছেন এবং ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন।
এছাড়া বাজারের বহু ফার্মেসিরই নেই বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ লাইসেন্স বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকানে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
একজন স্থানীয় ব্যক্তি লালমাইর কলমকে জানা যায় ,“যখন মোবাইল কোর্টের অভিযান শুরু হয়, তখন খবর পেয়ে আটিটি বাজারের সব ওষুধ দোকানদার তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। যদি তারা বৈধভাবে ব্যবসা করতো, তাহলে পালাত না। আপনি যাচাই করলেই দেখবেন—কোনো দোকানেই সঠিক কাগজপত্র নেই।”
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, আটিটি বাজারে বর্তমানে মোট ১৪টি মেডিসিন দোকান রয়েছে। এর মধ্যে একটিও সম্পূর্ণ বৈধ নথিপত্র দেখাতে সক্ষম নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রী খীসা জানান, জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন, লালমাই কর্তৃক মোবাইল কোর্টের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।